
জ্বালানি সংকট সমাধানে উদ্যোগ
গ্যাস কূপ খনন বাড়াতে কেনা হবে নতুন রিগ
- আপলোড সময় : ০৪-০৬-২০২৫ ১১:০৯:৪৯ পূর্বাহ্ন
- আপডেট সময় : ০৪-০৬-২০২৫ ১১:০৯:৪৯ পূর্বাহ্ন


তীব্র জ্বালানি সঙ্কটে ভুগছে দেশ। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে বর্তমান সরকার দেশের স্থলভাগে গ্যাস কূপ খনন ও অনুসন্ধান কার্যক্রমের গতি বাড়াতে চাচ্ছে। ওই লক্ষ্যে নতুন রিগ (গ্যাস অনুসন্ধান যন্ত্র) কেনার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে রিগের ডিপিপি (উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব) বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। আর সেটি একনেকে পাস হলেই বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি লি. (বাপেক্স) চলে যাবে টেন্ডারে। ইতিমধ্যে ওই টেন্ডারও প্রস্তুত রাখা হয়েছে। প্রথমে একটি রিগ কেনার জন্য প্রকল্প নেয়া হয়েছে। পাশাপাশি আরো দুটি রিগ কেনার জন্য চলমান আছে ফিজিবিলিটি স্টাডি। বর্তমানে বাংলাদেশে রিগ মোট পাঁচটি আছে। এর মধ্যে একটি রিগ বেশ পুরোনো। ১৯৮৭ সালে কেনা হয়। এক থেকে সর্বোচ্চ ২ হাজার হর্স পাওয়ারের ওই রিগগুলো। বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, কূপ খননে শুধু রিগ কিনলেই কী হবে। সেজন্য প্রয়োজনীয় জনবলও থাকাও জরুরি। তা না হলে কাজে আসবে না রিগগুলো। বরং তা পরিণত হবে এক ধরনের বোঝায়। নতুন কেনা রিগগুলোর মধ্যে একটি ওয়ার্কওভার রিগ আর দুটো হচ্ছে ড্রিলিং রিগ কেনার প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। মূলত রিগগুলো কেনা হচ্ছে স্থলভাগের জন্য। কারণ সরকার ৫০টি কূপ খননের যে পরিকল্পনা নিয়েছে, তা চলমান আছে। সিলেট গ্যাস ফিল্ড, বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ড কোম্পানি লি. (বিজিএফসিএল) আর বাপেক্স বিভিন্ন স্থানে ওই কূপ খননের কার্যক্রম করছে। বিশেষ আইনে উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল যে কূপগুলো খননের, সেগুলোর সব টেন্ডার করে গ্রহণযোগ্য দাম দেয়াদের কাজ দেয়া হচ্ছে। এর আগে ২০১৮ সালে আওয়ামী লীগ সরকার শেষ রিগ কিনেছিল।
সূত্র জানায়, দেশের জন্য খুবই গুরুত্বপূণ জ্বালানি। দেশের জ্বালানি খাতকে সমৃদ্ধ রাখার বিষয়টিকে সরকারও গুরুত্ব দিচ্ছে। নতুন রিগগুলো কেনার ফলে দেশে একই সময়ে কূপ খননের সংখ্যাও বৃদ্ধি পাবে। জ্বালানি বিশেষজ্ঞরাও রিগ কেনাকে ভালো একটি উদ্যোগ বলছেন। কিন্তু রিগ ব্যবস্থাপনায় যে জনবল দরকার তা নেই। ওই দক্ষ জনবলই আগে দরকার। তা না হলে রিগগুলো অনেকটা বোঝাতে পরিণত হবে। তবে একটি আলাদা কোম্পানি গঠন করা যেতে পারে। যেখানে বিদেশি ক্রুদের নিয়ে রিগ ভাড়া করে গ্যাস উত্তোলন করা যেতে পারে।
এদিকে এ বিষয়ে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান সম্প্রতি জানান, সরকার গ্যাস অনুসন্ধানে নজর দিচ্ছে। যে ৫০টি কূপ খনন করা হচ্ছে, তা সফল হলে সেখান থেকে আরো ৫০০ এমএমসিএফডি গ্যাস পাওয়া সম্ভব। ভোলাতে নতুন করে সিসমিক সার্ভে ও ড্রিলিং করা হচ্ছে। এখন যে রিগগুলো আছে সেগুলো গভীরে যায় না। সেজন্য সরকার রিগ কিনছে।
নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata
কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ